প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক আর উদ্বেগ। প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে লাশের সারি। কিন্তু এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেও থেমে নেই অপরাধীদের দুষ্টচক্র। ত্রাণসামগ্রী চুরির ঘটনা বেশ আলোচিত হলেও এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে ট্রেনের তেল চুরির ঘটনা। এসব ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও সরকার রীতিমত বিব্রত।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলাচল বন্ধ থাকার কারণে রাজশাহী রেলস্টেশনে ট্রেনের বেশ কয়েকটি লরি আটকা পড়েছে। কিন্তু এসব লরি থেকে প্রায় ১১ হাজার লিটার তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটকও করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন, যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী।
এব্যাপারে পশ্চিম রেলওয়ের চিফ ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান বলেন, তেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিনিয়র সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এর আগেও এই চক্রটি ট্রাক থেকে প্রচুর তেল চুরি করেছে। কিন্তু গত বুধবার ১১ হাজার লিটার তেল চুরির সময় চক্রের সদস্যরা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এসময় ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও তার সহকারিদের আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। এসময় তেল চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
এব্যাপারে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবদুল করিম জানান, ২০ এপ্রিল ঈশ্বরদী থেকে ৩০ হাজার লিটার তেল রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বুধবার ওই লরি থেকে ১১ হাজার লিটার তেল চুরি হয়ে যায়।
রাজশাহী রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ওসি শাহ কামাল বলেন, পদ্মা ও যমুনা ওয়েলের বেশ কয়েকটি তেলবাহী লরি রাজশাহী স্টেশনে আনা হয়। এর মধ্যে শুধু একটা বগি ছিল সিলভার রঙ্গের। সেটিতে সরকারি তেল ছিল, এই তেল সরকারি কাজের জন্য। ওই তেলগুলো স্টেশনের ভেতরের একটি ট্যাংকিতে রাখা হয়। কিন্তু সেই তেলগুলো চুরি করে ট্রাকে ভর্তি করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে হাতেনাতে তিনজনকে তেলসহ আটক করা হয়।
টাইমস/এসএন