রাজশাহীতে ডিপো থেকে তেল চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার পশ্চিম রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ চারজনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। তবে রিমান্ড শুনানি হয়নি।
আসামিরা হলেন- পশ্চিম রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসান, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্যাংকার ট্রাকের হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী। এদের মধ্যে আবদুল হাসানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এবং অন্য তিনজনকে তেল চুরির সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী আরএনবির পরিদর্শক আহসান হাবিব জানান, প্রথম তিন আসামিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শনিবার দুপুরের দিকে আদালতে নেয়া হয় প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামিরই সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে আদালতে আবেদনের শুনানি হয়নি, পরে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একটি ওয়াগান থেকে তেল চুরির সময় একটি ট্যাংকার ট্রাক হাতেনাতে জব্দ করে আরএনবি। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে আরএনবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আবদুল হাসানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক।
তারা হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সহকারী ম্যানেজার আশফাকুল ইসলাম, তেল ক্রেতা (মূল চোর) রবিউল ইসলাম ও ট্রাকচালক বাবু আলী খান। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে আরএনবি।
এদিকে, তেল চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশীষ কুমার মণ্ডলকে প্রধান করে এই কমিটি হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।
ট্রেন থেকে ১১ হাজার লিটার তেল চুরি
টাইমস/এইচইউ