ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আটকে আছে সাত শতাধিক নমুনা। সক্ষমতার তুলনায় বেশি নমুনা আসায় পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ইদানীং প্রচুর নমুনা আসায় সাত শতাধিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট দুয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও একটি পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিন আনা হয়েছে। সেটির জন্য ল্যাব (পরীক্ষাগার) স্থাপনের কাজ চলছে। আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে। ওই পরীক্ষাগার চালু হলে প্রতিদিন আরও ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
অধ্যক্ষ বলেন, আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমাদের পিসিআর ল্যাবে দুই শিফটের (পালা) পরিবর্তে তিন শিফটে টেস্ট চালু করার। ময়মনসিংহ বিভাগে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ২১৩টি।
জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার রোগীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য গত ২ এপ্রিল একটি পিসিআর পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত এ পরীক্ষাগারে শুরু থেকেই দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানরা।
মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন দুই পালায় তারা ৯৪টি করে মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে প্রচুর নমুনা আসায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মতিউর রহমান ভূইয়া বলেন, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আরও একটি পিসিআর মেশিন রয়েছে। বাকৃবির ওই ল্যাবটিকে করোনা পরীক্ষার উপযোগী করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হলে সেখানে অনেক নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হতে পারে।
টাইমস/এইচইউ