করোনার ভয়ে অন্তরালে কিম জং উন!

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অন্তর্ধানের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে না আশায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম কিমের মৃত্যুর খবরও প্রচার করেছে। সম্প্রতি কিম জং উনের হার্টে গুরুতর অপারেশনের পর এই ‘গুঞ্জন’ আরও জোরদার হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, অপারেশনের পরে কিমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। কিন্তু এসব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়া।

এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল দাদার জন্মবার্ষিকীতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন কিম জং উন। কিন্তু দাদার জন্মবার্ষিকীতে অংশ না নেয়ার কোনো নজীর কিমের নেই। কারণ তিনি তার দাদার জন্মবার্ষিকীকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

মূলত এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিমের মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতার সংবাদ অব্যাহত ভাবে প্রচার করে। কোন মিডিয়ায় বলা হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি খুব অসুস্থ। আবার কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিম জং উন পরপারে।

তবে পশ্চিমা এসব গণমাধ্যমের সংবাদের সত্যতা উড়িয়ে দিয়ে সাউথ চায়না মনিং পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতেই সম্ভবত কিম জং উন অন্তরালে চলে গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ১৫ এপ্রিল কিং জং উন তার দাদার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া থেকে বিরত ছিলেন অসুস্থতার কারণে নয়। বরং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতেই কিম ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ওই মন্ত্রী আরও জানান, তারা (দক্ষিণ কোরিয়া) কিম জং উনের বর্তমান অবস্থান জানেন এবং উত্তর কোরিয়ায় তারা কোনো অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করেননি।

তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার দাবি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। তারপরও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিম জং উন এখন কি করছেন তা আমি জানি। এবং আমি এটাও জানি যে, কিম ভালো আছেন।

এছাড়া মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত একই কথা বলেছেন।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on: