অদ্ভুত এক ভাইরাস করোনা। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসটির কুল-কিনারা করতে পারলেন না বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। কিছু দিন পরপরই করোনায় আক্রান্তদের উপসর্গ পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চল ভেদে কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে উপসর্গও আলাদা। তেমনি এবার জাপানের বিজ্ঞানীরা তাদের দেশে করোনা আক্রান্তদের শরীরে অন্যরকম কিছু উপসর্গ আবিষ্কার করেছেন। আর নতুন এ ১৩টি উপসর্গ নিয়ে দেশটি রীতিমত উদ্বিগ্ন।
করোনাভাইরাসের ১৩টি নতুন উপসর্গের ব্যাপারে এরই মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে হালকা উপসর্গ দেখা দেয়া অনেক রোগীকে বাড়িতে থাকতে হবে।
নতুন চিহ্নিত ১৩টি উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের জন্যও নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নতুন উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- ঠোঁট বেগুনি রঙ ধারণ করা, দ্রুত শ্বাস নেয়া, হঠাৎ করেই দম বন্ধ ভাব হওয়া, হালকা হাঁটাচলা করলেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করা, বুকে ব্যথা, শুয়ে থাকতে না পারা, উঠে না বসলে শ্বাস নিতে না পারা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, হঠাৎ শব্দ করে শ্বাস নিতে শুরু করা, অনিয়মিত নাড়ির স্পন্দন, মলিন চেহারা, অদ্ভুত আচরণ করা, অন্যমনস্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়া এবং বিভ্রান্ত হয়ে উত্তর প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করা।
এদিকে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের শিশুদের শরীরে করোনাভাইরাসের এক রকম উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে একই রোগের উপসর্গ ভিন্ন। আবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনার উপসর্গ একরকম, তো এশিয়ার দেশগুলোতে আরেক রকম। যদিও এতদিন করোনা সংক্রমণে সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টসহ কয়েকটি উপসর্গই বেশি আলোচিত হয়ে আসছিল।
কিন্তু কিছুদিন পরেই চিকিৎসা গবেষকরা জানান, সর্দি-গন্ধ লোপ পাওয়া, চোখ গোলাপি হয়ে যাওয়াও করোনার লক্ষণ। এছাড়া পায়ে ক্ষতচিহ্ন, র্যাশ ওঠা ও হালকা শীত শীত অনুভূত হওয়াও করোনার ছোট ছোট উপসর্গ।
টাইমস/এসএন/এইচইউ