হাঁচি, কাশি ও স্পর্শের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এতদিন সবাই এটাই জেনে আসছি। কিন্তু এবার হংকংয়ের একদল গবেষক দাবি করেছেন, মানুষের চোখের মাধ্যমে শরীরে ঢুকে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
গবেষকদের বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সার্স ভাইরাসের চেয়েও নতুন করোনাভাইরাসটি চোখ ও বাতাসের মাধ্যমে (নাক-মুখ দিয়ে) মানুষের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। এতে মানুষ বহুগুন বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দ্য ল্যানসেট রেসপাইরেটরি মেডিসিন জার্নালে নতুন এই তত্ত্ব নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক মাইকেল চ্যান চি-ওয়াই।
গবেষণায় বলা হয়েছে, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বাতাসে ড্রপলেট (নাক-মুখ দিয়ে বের হওয়া ক্ষুদ্র জলকণা) ছড়িয়ে পরে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির ড্রপলেট বাতাসে ভেসে থাকার এক পর্যায়ে তা মানুষের চোখের মণি বা সাদা অংশে গিয়ে পড়তে পারে। সেখান থেকেই শুরু হতে পারে ভাইরাসের সংক্রমণ। এভাবে সংক্রমণের ঘটনা সাধারণত হাসপাতালে ঘটে। তাই স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে গবেষকরা।
আবার ড্রপলেট ভারি হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে তা মাটি বা অন্য কোন বস্তুর ওপর পড়ে। ড্রপলেট পড়েছে এমন বস্তুতে হাত দিয়ে কেউ যদি সেই হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করেন, তাহলেও ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে চোখে, নাকে বা মুখে হাত দেয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
টাইমস/এসএন