ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠ নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে ও জয়নুল উদ্যানের পাশে অবস্থিত ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস মাঠ। যার চারদিকে সবুজ শ্যামলিয়ায় ঘেরা। রাজনীতির ইতিহাসে যেমন এটি বিখ্যাত তেমনি ক্রীড়া চর্চায়ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৬ একর আয়তনের এই ঐতিহ্যবাহী মাঠ শিশু-কিশোরদের দুরন্তপনা, খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদীদের সমাগমে মুখর থাকে প্রতিদিনই। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রামচাঁদ গোয়ালা, সাইফুল-সানোয়ার বা বর্তমানের তারকা ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেক এখানে খেলেই বেড়ে উঠেছেন। বেশ কয়েকটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারও গড়ে উঠেছে সার্কিট হাউস মাঠকে ঘিরে। আবার এখানকার বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও বিবেচনা করা হয় এ মাঠকেই।

সম্প্রতি এই মাঠের নান্দনিকতা বৃদ্ধি, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতিকৃতি বসানো, ওয়াকওয়ে এবং মাঠের চারপাশে প্রাচীর তৈরির জন্য সাড়ে ৬ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসন। গত ১ জুন সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রকল্পের ফলক উন্মোচনের পরই সীমানা প্রাচীর ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

কিন্তু দৃষ্টিনন্দন বিশালকায় মাঠটির চারপাশে দেয়াল নির্মাণ করতে দিতে চায় না ময়মনসিংহবাসী। গত কয়েকদিন ধরেই সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয়েছে তোলপাড়।

এবার মাঠ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পঞ্চপাণ্ডবদের অন্যতম ও ময়মনসিংহের ছেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, 'আসসালামু আলাইকুম। আমাদের প্রিয় সার্কিট হাউজ মাঠে তোলা ছবিটি। আমার ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি এই মাঠেই। আমার ক্রিকেটের পথচলার শুরু এখান থেকেই। আমার মনে হয় ময়মনসিংহের সমস্ত ক্রীড়াবিদদের জীবনের শুরু এই মাঠেই। যখনই ময়মনসিংহে আসি, এই মাঠে আমি অন্তত একবারের জন্য হলেও যাই। তা সে দিন হোক অথবা রাত কারণ এই মাঠের সাথে অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ জড়িত। এই মাঠের উন্মুক্ততা ময়মনসিংহের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। বর্তমানে এই মাঠকে ঘিরে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। উন্নয়নকে আমি স্বাগত জানাই এবং আমি আশা করি এই মাঠের উন্মুক্ততা ও ঐতিহ্য বজায় রেখে যথাযথ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে ইন্-শা-আল্লাহ।'

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: