আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে বন্ধুর প্রেমিকার সঙ্গে যৌনমিলনের ইচ্ছাপোষণ করে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন আরেক যুবক। হত্যার পাঁচদিন পর ওই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার সুজন মিয়াকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে দাউদকান্দি পৌরসভার গাজীপুর দিঘিরপাড় গ্রামের আবু হানিফ মিয়ার ছেলে। নিহত হৃদয় একই গ্রামের আবদুল মতিন ওরফে মিন্টু মিয়ার ছেলে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম খান মঙ্গলবার জানান, গাজীপুর গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে আসামি সুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় সময়ই হৃদয়কে নিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেত সুজন। একদিন মেয়ের বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় হৃদয়কে বাইরে থাকতে বলে সুজন ঘরে প্রেমিকার সঙ্গে মেলামেশা করে। তাদের অজান্তে জানালা দিয়ে মেলামেশার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে হৃদয়। গেল রমজানের কয়েকদিন আগে হৃদয় সেই ভিডিও সুজনকে দেখিয়ে তাকেও ওই মেয়ের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ দিতে বলে।
এতে ক্ষিপ্ত হয় সুজন। পরে কৌশলে ভিডিওটি উদ্ধার করতে অন্য মেয়ের লোভ দেখিয়ে ৩১মে সন্ধ্যায় হৃদয়কে পাম্পের পশ্চিম পাশে ডেকে নেয় সুজন। সেখানে ভিডিও ডিলিট করা নিয়ে উভয়ের মাঝে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সুজন গাছের ডাল দিয়ে হৃদয়ের মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে মোবাইলটি পানিতে ফেলে বাড়ি চলে যায় সুজন। পরদিন সকালে সুজন জানতে পারে হৃদয় মারা গেছে।
টাইমস/জেকে