মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এবছর সীমিত আকারে পবিত্র হজ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দেবে সৌদি সরকার। কয়েকদিন আগে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে এবছরের জন্য পবিত্র হজযাত্রা বাতিল করেছে মালয়েশিয়।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী জুলফিকলি মোহাম্মদ আল-বাকরি এ ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন, এমন সংশয় থেকে মালয়েশিয়া সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এছাড়া হজ পালনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকেই মানুষ মক্কায় সমবেত হবেন। ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মালয়েশিয়ান ধর্ম মন্ত্রী বলেছেন, আমরা আশা করি, ধর্মপ্রাণ মানুষেরা পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। তারা ধৈর্যশীল হবে এবং মহামারী পরিস্থিতিতে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রতি বছর মালয়েশিয়ার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে মক্কা-মদিনা যান। কোটাব্যবস্থার কারণে দেশটির অনেকেই জীবনে একবারই হজ করার সুযোগ পান।
মালয়েশিয়ার তাবুং হজ বোর্ড জানিয়েছে, করোনার কারণে মালয়েশিয়া থেকে ৩১ হাজার ৬০০ জন মুসল্লিকে হজ পালনের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার হজযাত্রা বাতিল করায় সেই আশাটুকুও অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে অনেকের।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর সারাবিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ লাখ মানুষের হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার।
টাইমস/এসএন