অরক্ষিত মেডিকেল বর্জ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

করোনা প্রাদুর্ভাবের এই পর্যায়ে এসে সুরক্ষা সামগ্রীই যেন হয়ে উঠেছে নতুন ‘হুমকি’। ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়ালেও এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত এসব মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কোনো পদক্ষেপই নেয়নি সিটি করপোরেশন। চিকিৎসকরা বলছেন, কঠিন এই সময়ে মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ হতে পারে পরিত্যক্ত এসব মেডিকেল বর্জ্য।

সম্প্রতি ঢাকা শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও পিপিই। যদিও এসব জিনিস ব্যবহার শেষে পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেসব নিয়ম মানা হচ্ছে না। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দিনের পর দিন হাসপাতালটির মূল ভবন লাগোয়া দেয়ালের সামনে এভাবেই মেডিকেল বর্জ্য পড়ে রয়েছে। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার সব সময় কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে ঢাকা শিশু হাসপাতাল চলছে উল্টো পথে।

এদিকে ব্যবহৃত মেডিকেল বর্জ্য যত্রযত্র ফেলে রাখার ব্যাপারে হাসপাতালের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও অনেক দায় রয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লার গলি রাস্তার মোড়ে মোড়ে অথবা যত্রতত্র ব্যবহৃত মেডিকেল বর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বর্জ্যের সঙ্গে বিভিন্ন বাসা বাড়ির নিয়মিত বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে। কিন্তু বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষার কথা কেউই মনে রাখছেন না।

কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে। বাসা বাড়ির ময়লার সঙ্গে ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও পিপিই ফেলে রেখে যাচ্ছেন সবাই। করোনা আতঙ্কের মধ্যে এসব জিনিস পরিষ্কার করতে গেলে খুব ভয় লাগে। সবাই একটু সচেতন হলে আমাদের কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যেতো।

এব্যাপারে চিকিৎসকরা বলছেন, সংকটকালীন এই সময়ে সামান্য উদাসীনতাও ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই বর্জ্য পরিষ্কারে বেশি বেশি সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।

এব্যাপারে ডিএনসিসির প্রধান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, তিন লক্ষ পিস পলিব্যাগ আমরা বানাচ্ছি। এছাড়া মেডিকেল বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে রাখা রোধ করতে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পেইন শুরু করেছি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: