সাংসদ হিসেবে নয়, কুয়েতের ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার পাপুল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, মানবপাচারের ঘটনায় কাউকে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হবে না। মানবপাচার ও অর্থপাচার রোধে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের এমন কঠোর অবস্থানের মধ্যেও একজন সাংসদ কুয়েতে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে আটক হয়েছেন, যা দুঃখজনক।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সাংসদ পাপুল বাংলাদেশের কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সে দেশের নাগরিকত্বও পেয়েছেন শহিদ ইসলাম পাপুল। তারা বাংলাদেশের সাংসদকে নয়, বরং কুয়েতের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পাপুলকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি আরও বলেন, কুয়েতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের (পাপুল) বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সে দেশের সরকার আমাদের অফিসিয়ালি এখনো কিছু জানায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েত সরকার যদি সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে জানায়, তবে আমরা দেশের আইন ও নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে নীতি মেনে চলেন। পাচারকারী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: