স্কুল কমিটির সঙ্গে বিরোধ : হারপিক পানে শিক্ষিকার আত্মহত্যা

বিদ্যালয়ের কমিটির সঙ্গে বিরোধের জেরে সিলেটের বিশ্বনাথে হারপিক পান করে আসমা শিকদার (সীমলা) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। হারপিক পান করার দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

আসমা শিকদার সীমলা উপজেলার বাহাড়া-দুভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তিনি দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারীর পাশাপাশি সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ফজলু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের গভর্নিং কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুস শহীদকে বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুর রউফকে সভাপতি করা হয়েছে। এনিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে নতুন সভাপতি ও তার পক্ষের লোকজনের বিরোধ তৈরি হয়। সভাপতি হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রবাসী আবদুর রউফ, অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিন ও কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আমার স্ত্রীকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছিলেন। তারা আমার স্ত্রীকে অপমান করেছে, যা সইতে না পেরে সে হারপিক পান করে।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসমা হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। তার দেবর দৌলতপুর ইউনিয়নের মেম্বার শাহীন আহমদ বছর খানেক আগে আসমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তিনি স্কুলের সামনের একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন।

তবে এব্যাপারে স্কুলশিক্ষিকার দেবর শাহীন আহমদ মেম্বার বলেন, আমার ভাই-ভাবির সঙ্গে কোনো ধরণের বিরোধ নেই। কখনো ভাবিকে বাড়ি থেকে বের করেও দেয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, স্কুলশিক্ষিকা আসমার মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির একজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: