টেক্সাসে জগিংয়ে বেরিয়ে মিলল বাঙালি গবেষকের ক্ষতবিক্ষত লাশ

শর্মিষ্ঠা। বাড়ি ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। স্কুলের পড়া শেষ করে প্রথমে বেঙ্গালুরু এবং পরে অ্যামেরিকায় চলে যান তিনি। টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকিউলার বায়োলজি এবং ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করতেন তিনি। বহু বছর ধরে স্বামী অরিন্দম রায় ও সন্তানদের নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি।

শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই জগিংয়ে বেরিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। কিন্তু ফিরতে দেরি হওয়ায় তার খোঁজ শুরু হয়। বেলার দিকে পার্ক থেকে এই বাঙালি গবেষকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে শর্মিষ্ঠাকে। তবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তার আগে তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে।

পরে এ ঘটনার তদন্তে নেমে ২৯ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম বাকারি আবিওনা মনক্রিফ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ ডাকাতির জন্যই শর্মিষ্ঠাকে খুন করেছে বাকারি। ওই একই দিনে পার্কের অদূরে একটি বাড়িতে চুরি হয়। তার সঙ্গেও বাকারি যুক্ত বলে পুলিশের ধারণা।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং শর্মিষ্ঠার বন্ধুদের অনেকেরই বক্তব্য, যে ভাবে শর্মিষ্ঠাকে খুন করা হয়েছে, তা কেবল ডাকাতির জন্য বলে মনে হয় না। এর সঙ্গে বর্ণবাদের সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন শর্মিষ্ঠা। অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে গান এবং নাচ করতেন। সকলের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল তার।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ