ফুটবলে ক্যারিশমা দেখিয়ে গিনেস বুকে বাংলাদেশের জুবায়ের

ফুটবল দিয়ে ক্যারিশমা দেখিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এ নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ আশিকুর রহমান জুবায়ের। নেক থ্রো এন্ড ক্যাচেস ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬৫ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ২২ বছর বয়সি ঝালকাঠির ওই তরুণের হাতে গত ৩০ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্বীকৃতি পত্রটি পৌঁছেছে। এ স্বীকৃতি তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন তার এ সাফল্যে সংবর্ধনা দিয়েছে।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা শহরের মসজিদ বাড়ি রোডের জালাল আহম্মেদের ছেলে আশিকুর রহমান জুবায়ের বরিশাল বিএম কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই তার আসক্তি ফুটবলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুটবলের বিভিন্ন কলাকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা ছিল জুবায়েরের নেশা। মা বাবার চোখ এড়িয়ে বাসার মধ্যে রুম আটকিয়েও করতেন অনুশীলন। কোন প্রশিক্ষক না থাকা সত্বেও ব্যক্তিগত অনুশীলনই এখন তাকে এনে দিয়েছে বিশ্ব সেরার স্বীকৃতি। ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর জার্মানির মার্কেল গুর্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ‘নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস’ ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬২ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় বিশ্বরেকর্ড গড়েন। জুবায়ের মিনিটে ৬৫ বার নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেসে বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় আগের রেকর্ডটি ভেঙে বিশ্ব সেরার স্বীকৃতি পান। জুবায়েরের এই সাফল্যে তার পারিবার এবং জেলাবাসি আনন্দিত ও গর্বিত। তিনি শুধু নিজের জন্য নয় দেশের জন্যও সম্মান বয়ে এনেছে। বিশ্ব সেরার এ স্বীকৃতি পেয়ে ভীষণ আনন্দিত জুবায়ের। তাঁর এ সাফল্যে দেশের ফুটবলপ্রেমি যুবকরা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

গিনেস রেকর্ডের বিষয়ে মো.আশিকুর রহমান জুবায়ের বলেন, নিজের খেয়াল থেকেই এগুলো করেছি। ছোটবেলাতে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বেশিদূর এগোতে পারিনি। তবে ইচ্ছা ছিল আলাদা কিছু করার। বাসায় লেখাপড়ার জন্য বাবা-মায়ের কড়া শাসন থাকলেও ঘরের দরজা বন্ধ করেই নিয়মিত চালিয়ে যেতাম প্রাকটিস।

 

টাইমস/জেকে/এইচইউ

Share this news on: