বাঁশের বিস্কুট তৈরি করে ত্রিপুরার চমক, আসছে বাংলাদেশে

বাঁশের কোড়ল থেকে তৈরি করা বিস্কুট বাংলাদেশে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ‘বাঁশের তৈরি সুস্বাদু কুকি’ তিনি নিজেও খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাঁশ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আরও জানান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারে বাঁশ খুব সহজে জন্মায়। এ অঞ্চলের গ্রামীণ জমিতে বাঁশবন বা বাঁশঝাড় খুবই পরিচিত। সবজি বা তরকারি হিসেবে এসব বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁশের ব্যবহার আছে।

বাঁশ দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, আমি নিজেই বাঁশের কোড়ল থেকে তৈরি বিস্কুট খেয়েছি। এই বিস্কুট খুবই সুস্বাদু। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত বাংলাদেশে এই বিস্কুট রপ্তানি করতে পারবো।

বাঁশের কোড়ল

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, আমাদের সৌভাগ্য যে, ত্রিপুরার মাটিতে যে বাঁশ জন্মায় তার ৮০ শতাংশই মুলি বাঁশ। মুলি বাঁশের পেস্ট দিয়েই এই বিস্কুট প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে ত্রিপুরা সরকারের একটি সূত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ত্রিপুরার বাজারে বাঁশের বিস্কুটের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেও এ বিস্কুট জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। যে কারণে গোমতি নদী দিয়ে নৌপথে এ বিস্কুট বাংলাদেশে পাঠাতে চায় ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, বাঁশের কোড়ল দিয়ে অভিনব উপায়ে স্বাস্থ্যকর এ কুকি বিস্কুট তৈরি করেছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যাম্বু অ্যান্ড কেইন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিসিডিআই)। অভিনব বিস্কুটের প্যাকেটও বাঁশের তৈরি। এছাড়া ত্রিপুরার জনজাতি মানুষের অন্যতম ঐতিহ্য ‘রিশা’ ব্যবহার করা হচ্ছে বিস্কুটের প্যাকেজিংয়ে। আবার বাঁশের তৈরি বোতলেও রাখা যাবে এ বিস্কুট।

রাজ্যে বাঁশ ও আখের ফলন অনেক বেশি। যে কারণে বাঁশের বিকল্প ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বিসিডিআই। দীর্ঘদিনের গবেষণার ফল হিসেবে এই ‘বাঁশের বিস্কুট’ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এব্যাপারে ত্রিপুরার ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, বাঁশের বিস্কুটের সফলতার জন্য তারা প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। কারণ বাংলাদেশে এ বিস্কুটের চাহিদা তৈরি হলে তা বিশ্বের যেকোনো বাজারে সমাদৃত হবে বলে বিশ্বাস ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: