ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আদালতে আরও ৩ আসামির স্বীকারোক্তি

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরও তিন আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া ও মো. আইনুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে রাজন, মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুদ্দিন ও মহানগর হাকিম শারমিন খানম নীলার আদালতে রনি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, মামলার এই তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় গণধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। আদালতের বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, গত মঙ্গলবার তাদের ৩ জনকে ৫দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে সৌপর্দ করা হলে ৩ জনেই জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং রবিউল ইসলামকেও রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

শনিবার সকালে এই মামলার দুই আসামি তারেকুল ইসলাম এবং মাহফুজুর রহমানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগে, গতকাল বাকি ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয় ওই হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূ তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: রিমান্ড শেষে আদালতে আরও তিন আসামি

এমসি কলেজে নববধূ গণধর্ষণ: আরও দুই আসামির ডিএনএ সংগ্রহ

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: