স্বামীর সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার (এডভেঞ্চার)-৯ নামের একটি লঞ্চে শনিবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল ফিরছিলেন এক সন্তান সম্ভাবা নারী। মেঘনায় মাঝ নদীতে চলন্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে দিকে লঞ্চের ২১০ নম্বর কেবিনে ওই নারীর কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। শিশুটি জন্মের পরপরই তার নাম রাখা হয়েছে ‘নুসাইবা’। খবর পেয়ে নবজাতককে দেখতে ভিড় করেন লঞ্চের অন্য যাত্রীরা।
নুসাইবার বাবা ফোরকান হাওলাদার রাজধানীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নে।
খবর পেয়ে নিজাম শিপিং লাইনসের স্বত্বাধিকারী মোহম্মদ নিজাম উদ্দিন পরিবারটির লঞ্চ যাতায়াত আজীবনের জন্য ফ্রি করে দেন। নবজাতক ও তার বাবা-মাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের মুখে মিষ্টি তুলে দেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
নবজাতকটির বাবা ফোরকান হাওলাদার জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে নিয়ে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর সদরঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চে করে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফাহিমা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষসহ যাত্রীদের অনেকেই তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। দুইজন নারীর সহায়তায় নিরাপদে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন তার স্ত্রী। লঞ্চের যাত্রী এক নারী চিকিৎসক সারা রাত তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখভাল করেন।
মা ও মেয়ে সুস্থ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে তারা গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জে চলে গেছেন।
অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চে সুপারভাইজার নুর খান মাসুদ জানান, ফোরকান-ফাহিমা দম্পতি ডেকের যাত্রী ছিলেন। ফাহিমা বেগমের প্রসব বেদনার খবর জানতে পেরে তাকে তাৎক্ষণিক কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
সদ্য জন্ম নেওয়া নুসাইবা ও তার বাবা-মায়ের অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চে যাতায়াত সারা জীবনের জন্য ফ্রি ঘোষণা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলে জানান তিনি।
টাইমস/এইচইউ