ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল গ্লোব বায়োটেকের ‘ব্যানকোভিড’

করোনা প্রতিরোধে প্রাণীদেহে সফল হয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড উদ্ভাবিত টিকা ‘ব্যানকোভিড’। করোনা প্রতিরোধী এ টিকা প্রাণীদেহের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ, কার্যকর ও প্বার্শপ্রতিক্রিয়ামুক্ত বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ টিকার এনিমেল (প্রাণী) মডেলে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ ট্রায়ালও এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা প্রতিরোধী টিকা ‘ব্যানকোভিড’ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ।

টিকার নামকরণের ব্যাপারে ড. কাকন বলেন, BANCOVID নামের BAN একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামকে প্রতিনিধিত্ব করে। যা COVID-১৯ কে ব্যান বা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। আমরা দ্রুতই এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে তা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর সেবায় উৎসর্গ করব।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ কিরণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ, ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কাকন নাগ বলেন, সারাবিশ্বে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। সামনে শীত আসছে। এ শীত বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই গ্লোব বায়োটেক করোনার টিকা তৈরিতে ব্যাপক চেষ্টা করেছে।

তিনি জানান, বর্তমান করোনার এ সংক্রমণে ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টটি শতভাগ দায়ী। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় এ ব্যাপারটি উঠে এসেছে। বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদও (বিসিএসআইআর) বাংলাদেশে সংক্রমণের জন্য করোনার ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করেছে।

ড. কাকন নাগ বলেন, গ্লোব বায়োটেক নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘ব্যানকোভিড’ টিকা আবিষ্কার করেছে। যা করোনার ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ও একমাত্র সফল টিকা। এনিমেল (প্রাণী) মডেল ইঁদুরে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ‘ব্যানকোভিড’ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যার বিস্তারিত ফলাফল বায়ো-আর্কাইভে (biorxiv) প্রি-প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেসে প্রাপ্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক করোনার সব সিকোয়েন্স বায়োইনফরমেটিক্স টুলসের মাধ্যমে বিশদ পর্যালোচনা করে ‘ব্যানকোভিড’ টিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এই টিকা সারাবিশ্বে অধিক কার্যকরী হবে বলে আশা করছি। আমরা আমাদের টিকার টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স এনসিবিআই ডাটাবেসে জমা দিয়েছি, যা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

ড. কাকন নাগ আরও বলেন, ইঁদুরের পাশাপাশি বিশদ বিশ্লেষণের পর ‘ব্যানকোভিড’ টিকা প্রাথমিকভাবে খরগোশের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। যেখানে ‘ব্যানকোভিড’ সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: