সিরিয়া থেকে আজারবাইজানে তুর্কি মিলিশিয়া পাঠাচ্ছে এরদোগান

সিরিয়া থেকে তুর্কি বংশোদ্ভুত মিলিশিয়াদের যুদ্ধের জন্য আজারবাইজানে পাঠাচ্ছে রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এ অভিযোগ করেছেন। যদিও এখবর পুরনো, তারপরও যেন নতুন করে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে ঘি ঢেলে দিল আসাদের বক্তব্য।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিরোধ নতুন নয়। বহুদিন ধরেই দেশ দুটির মধ্যে থেমে থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের গতি বেশ ভয়ঙ্কর ও আগ্রাসী।

আজারবাইজানকে তুরস্ক সরাসরি সমর্থন দেয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আর্মেনিয়ার বাহিনী। পশ্চিমা ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো অস্ত্র বিরতির আহŸান জানালেও দুই দেশই নিজেদের অবস্থানে অটল। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে আজারবাইজান বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েক গ্রাম বা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে আর্মেনিয়রা। আর্মেনিয়ার দাবি, আজারবাইজানকে সরাসরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধপ্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করছে এরদোগান সরকার। কিন্তু তুরস্ক সমর্থন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও যুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয় অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বক্তব্যের সূত্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের অভিযোগ বা বক্তব্য যাচাই করবে মস্কো।

এর আগে বাশার আল আসাদ বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সিরিয়া থেকে তুর্কি বংশোদ্ভুত মিলিশিয়াদের কারাবাখে পাঠাচ্ছেন। মূলত এরদোগানের উসকানিতেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ন্যাটোভুক্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান ১১ দিনের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের হলেও আর্মেনীয় সেনাদের সহযোগীতায় দেশটির নৃগোষ্ঠীর লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে। কারাবাখের অধিকার ও আধিপত্য নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ১৯৯০ সালের পর থেকে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: