মিতুর পরকীয়া নিয়ে ডা. আকাশের সেই পোস্ট উধাও

আত্মহত্যার আগে ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সেটি মুছে ফেলা হয়েছে। এছাড়া আকাশ ও মিতুর ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে।

তবে কে বা কারা এটি করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশ বলছে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

গ্রেফতার মিতুর প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আমানত শাহ মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ডা. আকাশের ব্যক্তিগত মুঠোফোনটিও জব্দ করা হয়েছে। দুটি মোবাইলই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ডা. আকাশের আত্মহত্যায় স্ত্রী মিতুর প্ররোচনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব ছেলেবন্ধুর নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করবে।

অবশ্য ডা. আকাশের ফেসবুক থেকে স্ত্রী মিতুর ‘বহুগামিতা’ এবং এ-সংক্রান্ত যেসব ছবি ও মেসেঞ্জার চ্যাটের স্ক্রিনশট আপলোড করা হয়েছিল, সেগুলো ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা এ কাজটি করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কীভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁন্দগাও থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ডা. আকাশের ফেসবুক কিংবা মুঠোফোন থেকে কি কি তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যেসব তথ্য মুঠে ফেলা হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারে সেগুলো উদ্ধার করা হবে।

তিনি জানান, মিতু ও আকাশের দুটি ফোনই পুলিশের কাছে আছে।

একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া কুরে খাচ্ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে।
যন্ত্রণা এতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।

নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডা. আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার হন তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতু।

শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম। মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই ছেলে বন্ধুকে আসামি করা হয়েছে।

মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে ডা. আকাশ নিজের ফেসবুকে স্ত্রীর উদ্দেশে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটিতে স্ত্রীর প্রতি তার অভিমান ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

 

টাইমস/এক্স

Share this news on: