বাংলাদেশে ১১ ধরনের করোনাভাইরাস স্ট্রেইন শনাক্ত

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের স্ট্রেইন শনাক্তের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের স্ট্রেইনও পাওয়া গেছে। এ তথ্য দিয়েছে গ্লোবাল জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটাবেস জিআইএসএআইডি।

ডেটাবেসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় । ‘বি ডট১ ডট ৩৫১’ বা ‘৫০১ ডট ভি২’ নামে পরিচিত এই স্ট্রেইনটি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও পাওয়া গেছে। ব্রাজিলে প্রথম শনাক্ত হওয়া স্ট্রেইনের সাংকেতিক নাম ‘বি ডট১ ডট১ ডট১০৭’। দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনটি ছাড়াও দেশে আরও ১১ ধরনের করোনাভাইরাস স্ট্রেইন রয়েছে।

প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যের স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ‘সীমিত’ প্রতিরক্ষা তৈরি করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি রোগীদের পরিস্থিতি গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

এদিকে এই স্ট্রেইনটি অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) গত সপ্তাহে ৯৩টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ডেটা পাঠিয়েছে জিআইএসএআইডি ডেটাবেজে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে জিআইএসএআইডি ডেটাবেজে ৯০৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চীফ মলিকুলার বায়োলজিস্ট মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জিআইএসএআইডি ডেটাবেসে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে করোনার ১২টি স্ট্রেইন রয়েছে, যা একাধিক দেশেও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের স্ট্রেইনগুলো সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয়।

টাইমস/এসজে

 

Share this news on: