তুরস্কের তৈরি অস্ত্রবাহী ড্রোন কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব। দুই দেশের মধ্যে উপরে উপরে বৈরি ভাব থাকলেও হঠাৎ কেন সৌদি আরব তুরস্কের প্রতি ঝুঁকে গেল তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। আর এসব জল্পনার পালে সরাসরি হাওয়া লাগিয়ে দিলেন স্বয়ং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান।
এরদোগান বলেছেন, সৌদি আরব তুরস্ক থেকে অস্ত্রবাহী ড্রোন কিনতে চায়। সৌদির এই আগ্রহ তুর্কিদের সঙ্গে তাদের বহুদিনের বৈরি সম্পর্ককে নতুন রূপ দিতে পারে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে সৌদি নাগরিক সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। পরে জানা যায় যে, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়। আর ওই ঘটনার জেরে তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এছাড়া তুরস্কের চিরশত্ত্ররু গ্রীসের সঙ্গে সৌদির যৌথ বিমান অনুশীলনের ঘোষণায় দুই দেশের মধ্যে নীরব উত্তেজনাও তৈরি হয়। এমনকি সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মুখ খোলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, সৌদি আরব গ্রিসের সঙ্গে যৌথ অনুশীলন পরিচালনা করছে। আবার একই সময়, সৌদি আরব আমাদের কাছে অস্ত্রবাহী ড্রোন চাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সৌদির এমন সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।’
প্রসঙ্গত, অস্ত্রবাহী ড্রোন তৈরি ও যুদ্ধক্ষেত্রে তার সফল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তুরস্কের অস্ত্রবাহী ড্রোন। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিরোধপূর্ণ নাগার্নো-কারাবাখে সর্বশেষ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে এই ড্রোন। এছাড়া সিরিয়া ও লিবিয়াতেও তুরস্ক একই ড্রোন ব্যবহার করে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে চলেছে।
টাইমস/এসএন