ওজন নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হলো সুষম খাদ্য তালিকা। তাছাড়া সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রনের সহজ এবং প্রাকৃতিক কিছু উপায় হলো-

১। বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাদ্য খাবেন:
প্রতিদিন বেশি করে প্রোটিন খেলে এগুলো হজম ও পরিপাক হতে দেহ থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি ব্যয় হয়। এটা ওজন কমায়। এছাড়া প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে ক্ষুধাভাব হ্রাস পায়।

২। প্রক্রিয়জাত খাবার এড়িয়ে চলুন:
প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি, চর্বি এবং ক্যালোরি থাকে যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই সবসময় প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন।

৩। চিনিযুক্ত খাবার কমিয়ে দিন:
গবেষণায় দেখা গেছে, চিনিযুক্ত খাবার খাদ্য ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারসহ নানা রোগ হয়।

৪। বেশি করে পানি খান:
ওজন কমাতে পানি একটি উত্তম খাদ্য। তাই খাবারের পূর্বে বেশি করে পানি পান করুন।

৫। চিনি ছাড়া চা/কফি খান:
এন্টিঅক্সিডেন্টের জন্য কফি একটি উত্তম উপাদান। তাছাড়া, চা বা কফি সবার কাছে খুব প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু চা বা কফির সাথে চিনি খুবই ক্ষতিকর। তাই চা বা কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে চিনি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৬। সম্পূরক হিসেবে গ্লুকোমেনান খান:
ওজন কমাতে সহায়তা করে এ ধরনের একটি পিল হচ্ছে গ্লুকোমেনান। গ্লুকোমেনানে ক্যালোরি কম থাকে এবং এটি পাকস্থলী ভরা রাখে। তাছাড়া এটি প্রোটিন এবং চর্বির শোষণ কমায়।

৭। কোমল পানীয় এড়িয়ে চলন:
যথাসম্ভব প্রক্রিয়াজাত কোমল পানীয় যেমন- চিনিযুক্ত সফট ড্রিংকস, ফলের জুস, চকোলেট, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে।

৮। মাঝেমধ্যে উপবাস করুন:
মাঝেমধ্যে উপবাস করা বা খাবারে পর্যায়ক্রমে বিরতি দিলে তা ক্যালোরি হ্রাস করে। এটা ওজন কমানোর পাশাপাশি আরো নানাভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কখনো অতিরিক্ত উপবাস করবেন না।

৮। সবুজ চা পান করুন:
কারণ সবুজ চা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটা চর্বি ক্ষয় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৯। বেশি করে ফল-মূল ও সবজি খান:
গবেষণায় দেখা গেছে যারা বেশি বেশি ফল ও শাক-সবজি খায় তাদের ওজন কম থাকে।

১০। ছোট থালায় খাবার খান:
গবেষণায় দেখা গেছে ছোট থালায় খাবার খেলে অল্প খাবারকেও বেশি খাবার মনে হবে। এটা ধীরে ধীরে কম খেতে অভ্যস্ত করবে।

১১। ধীরগতিতে খাবার খান:
দ্রুত খেলে বেশি খাবার প্রবণতা তৈরি হবে। তাই কম খাবারই বেশি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাবেন।

১২। ডিম খাবেন:
ডিমে ক্যালোরি কম কিন্তু প্রোটিন বেশি এবং প্রায় সবধরনের পুষ্টিগুণ ডিমের মধ্যে রয়েছে।

১৩। প্রয়োজনীয় ঘুমান:
গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমায় তাদের ওজন অন্যদের তুলনায় বেশি।

১৪। আঁশযুক্ত খাবার খাবেন:
আঁশযুক্ত খাদ্য খেলে পেট ভরা ভরা লাগবে এবং তা ওজন কমাবে।

১৫। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
সর্বোপরি, ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

Share this news on: