ছাগলকাণ্ড: সেই ইউএনও বদলি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ছাগলকে জরিমানা করার ঘটনায় আলোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিনকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে তাকে ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে ন্যস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুন) বিকালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন পরিষদের ভিতরে ফুলের বাগান করেন। উপজেলা পরিষদের পাশে বসবাসকারী জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহেরা খাতুন সংসারের অভাব দূর করতে হাঁস-মুরগি, ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল গত ১৭ মে পরিষদের বাগানে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খেয়ে ফেলে।

এসময় ইউএনও সীমা শারমিনের নির্দেশে নিরাপত্তা প্রহরীরা ওই ছাগল আটক করেন। পরে সাহেরা বেগম খোঁজ পেয়ে পরিষদে গেলে তাকে ছাগল ফেরত না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি ইউএনওর কাছে পাঁচদিন ধরনা দিলেও লাভ হয়নি। তাকে জানানো হয়, ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা জমা দিয়ে ছাগল নিয়ে যেতে সাহেরা খাতুনকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে সাহেরা খাতুন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউএনও গত ২২ মে পাঁচ হাজার টাকায় ছাগলটি বিক্রি করে দেন। ইউএনওর বাংলোর কর্মচারীরা সাহেরা খাতুনকে বিষয়টি জানিয়ে, জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট তিন হাজার টাকা তাকে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর থেকে সাহেরা খাতুন বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়েও তার ছাগল ফেরত পাননি।

এ নিয়ে ২৬ মে বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন মাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রকাশিত হয়। এতে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে ইউএনও জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মালিকের কাছে ছাগলটি ফিরিয়ে দেন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: