ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে রক্ত দিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মানবিকতা

ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসি ও এক এএসআই। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই পুলিশের ওসি গিয়াস উদ্দিন ও এএসআই আরমান হোসেনের প্রশংসা করেছেন।

সোমবার (২৮ জুন) ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নূর ও হোটেল ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার (২৭ জুন) দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীকে একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন উপজেলার নোয়াপাড়ার মৃত আকবর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম নূর (২৬)। এতে স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যায় শরিফুল ইসলাম। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসময় খবর পেয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান ওসি গিয়াস উদ্দিন ও এএসআই আরমান হোসেন। তারা গিয়ে জানতে পারেন যে, রক্তের অভাবে ভিকটিমের অস্ত্রোপচার আটকে আছে। তখন ওসি ও এএসআই নিজেরাই রক্ত দিয়ে ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে প্রাণে বাঁচান। এই ঘটনায় মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার প্রয়োজনে ভিকটিমকে দেখতে গিয়েছিলাম। জরুরি রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় মানবিক কারণে আমি এবং এএসআই আরমান হোসেন রক্ত দিয়েছি। মানুষ হিসেবে এটাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: