১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিমনির জামিন শুনানী নিষ্পত্তি করতে বললেন হাইকোর্ট। জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশকে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করলে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু এহিয়া দুলাল।
এর আগে গতকাল (বুধবার) চিত্রনায়িকা পরীমণি নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনে জামিনও চান তিনি। আবেদনটি দায়ের করেন পরীমণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
এর আগে ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে গত শনিবার পরীমনিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।