ই অরেঞ্জ মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতের সীমান্তে আটক

ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্তের  মেখলিগঞ্জ থেকে আটক করেছে বিএসএফ।

শনিবার দুপুরের দিকে তাকে আটক করা হয়। 

সোহেল রানা বনানীর আগে গুলশান থানায় ছিলেন। তার বাড়ি গোপালগঞে। ই অরেঞ্জ তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ।

এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর আগে আদম পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একজন ব্যারিস্টারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  এছাড়া তার কাছে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র বলছে। 

ই-অরেঞ্জ সোহেল রানার বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গুলশানের একটি ঠিকানা থেকেই অরেঞ্জ বাংলাদেশ ও ই-অরেঞ্জ পরিচালনা করা হয়। অরেঞ্জ বাংলাদেশের ই-টিনে অথরাইজড পারসন হিসেবে আছেন নাজমা সুলতানা পিয়া। তিনি সোহেল রানার সাবেক স্ত্রী।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলের ব্যাপারে বলা হয়, সোনিয়া মেহজাবিন জুঁই ই-অরেঞ্জের প্রধান নির্বাহী। ভাইয়ের প্রায় সব ব্যবসা দেখভাল করছেন জুঁই। তার স্বামী মুসিকর রহমান সুমন একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম। এ ছাড়া ই-অরেঞ্জের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সোহেল রানার একাধিক বিয়ের কথা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। লন্ডনে পড়তে গিয়ে ডলপিউ নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় সোহেলের। তার হাত ধরে ই-অরেঞ্জের পথচলা। কিছু দিন লন্ডনে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিল। পরে বাংলাদেশে তারা কার্যক্রম শুরু করেন। তার সঙ্গে যোগ দেন একজন ব্যারিষ্টার যোগ দেন অরেঞ্জ বাংলাদেশে।  তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই ই-অরেঞ্জের ই-টিন ইস্যু করা হয় সোনিয়া মেহজাবিনের নামে। তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে ট্রেড লাইসেন্স সংশোধন করে মালিকানা বদল করা হয়। নতুন মালিক বীথি আক্তারও সোহেল রানার 'ঘনিষ্ঠ' বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এক সময় গুলশানের কোরিয়ান ক্লাবে চাকরি করতেন বীথি। সেখানে যাতায়াতের সূত্র ধরেই সোহেল রানার সঙ্গে তার পরিচয়। বীথিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে একাধিক সংস্থা।

Share this news on: