খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য করা আবেদন এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। খালেদার পরিবারের করা ওই আাবেদন আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
গত বছর দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ দুই বছর পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। গত বছর ২৫ মার্চ তিনি মুক্তি পান।
প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে এলে গত বছরের ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন বিবেচনা করে সরকার দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। যা ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত।