প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রায় ৩০০টা ঘর ভেঙেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে হাতুড়ি, শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলো ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম ধাম এগুলো একদম তদন্ত করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে।’
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া ঘর ভেঙে পড়া নিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালে অনেক রাজনৈতিক দল শুধু টেলিভিশনে বক্তৃতা-বিবৃতি আর আওয়ামী লীগের সমালোচনায় ব্যস্ত। তারা মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি।
স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন এবং দলের নেতাকর্মীরা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে তাদের ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধানের বক্তব্যে উঠে আসে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই ঘর ভাঙার তথ্য পেয়েছি। সম্পূর্ণ সার্ভে করিয়েছি। কারা এর সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেকের নাম-ঠিকানাসহ পেয়েছি। তবে কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে মাটি দেবে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নয় জায়গায় আমরা দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা মহামারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
দুষ্টুবুদ্ধির লোকদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। পরে সাম্প্রতিক সময়ে মারা যাওয়া নেতাকর্মীদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব আনা হয়।