হিন্দুদের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা

দুর্গাপূজার উৎসবের মাঝে এবং পরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলার সমালোচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র স্থানীয় সময় সোমবার এ কথা বলেছেন। 


তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা বা বিশ্বাস একটি মানবিক অধিকার। ধর্মীয় সম্পর্ক বা বিশ্বাসের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিরাপদ অনুভব করতে দিতে হবে এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো উদযাপনে সহযোগিতা করা উচিত।’ ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’, যোগ করেন মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র


দুর্গাপূজা চলাকালীন ও বিসর্জন শেষে কুমিল্লাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় হিন্দুদের পূজামণ্ডপ, মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। গত বুধবার কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির উত্তরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তোলার পর ওই দিন সকাল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য। তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।


কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর চৌমুহনী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।


বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। এসব হামলা থামাতে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।


সোমবার এক টুইটে মিয়া সেপ্পো লেখেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা সংবিধান পরিপন্থি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।’

Share this news on: