আরো একটি হতাশার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হলো বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের মূলপর্বে সবার আগে বাদ পরেছেন টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড কেমন ছিল?
২০০৩ সালের পর এই প্রথম তামিম ইকবালকে ছাড়া কোন বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২৬.৮৭ গড়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ দল হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ। দলে জায়গা পেয়েছিলেন এমন সাতজন ক্রিকেটার যারা এর আগে কোন ফরম্যাটেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেননি।
বাংলাদেশের ভরাডুবির কি কারণ?
ক্যাচ মিস
'ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস' বলে ক্রিকেটের একটি পুরনো বাগধারা আছে, সেটিই যেন বাংলাদেশ দল এবার আরো কয়েকবার প্রমাণ করলো
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের একের পর এক ক্যাচ মিস, ম্যাচের বাজে ফলাফলের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
কয়েকটি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিস করতে দেখা গেছে এছাড়াও একেকজন খেলোয়াড় একাধিক ক্যাচও মিস করেছেন, যা ব্যাপক হতাশাজনক।
ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা
বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এই বিশ্বকাপে তিনটি উদ্বোধনী জুটি নামিয়েছেন। নাঈম শেখের সাথে নামতে দেখা যায় লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে, তবে কেউই তেমন ভালো করতে পারেননি৷ এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানকেও প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামতে দেখা যায়।
মিডেল অর্ডারে রান
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে অন্যতম শক্ত অবস্থানে ভাবা হতো মিডেল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের, তবে এই বিশ্বকাপে মিডেল অর্ডারও ছিল নড়বড়ে।
মুশফিকুর রহিম নিয়মিত রিভাস সুইপ ও স্কুপ শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও তেমন চমক দেখাতে পারেননি।
কেমন সফলতা ও ব্যর্থতা?
চলতি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ছিল ২৫ ম্যাচে ৫ টি জয়। ২০২১ বিশ্বকাপ শেষে সে পরিসংখ্যান এখন ৩৩ ম্যাচে ৭ জয়।
সাতটি বিশ্বকাপ খেলে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় শুধুমাত্র একটি। সেটি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো। এমন পরিসংখ্যান নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্যের আশা করা স্বাভাবিকভাবেই কঠিন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের শুরু হয় হার দিয়ে এবং শেষটাও হয় হার দিয়েই।
বাছাই ও মূল পর্বসহ বাংলাদেশ খেলেছেন সর্বমোট আটটি ম্যাচ, এর মধ্যে জিতেছেন মাত্র দুইটিতে। এর মধ্যে বাছাই পর্বে জিতেছেন তিন ম্যাচ খেলে দুইটিতে। কিন্তু মূলপর্বের একটি ম্যাচেও জিততে পারেননি টাইগাররা।
তবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ দলের সৌভাগ্যবশত একটি লাভ হয়েছে। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আটের মধ্যে থাকায়
২০২২ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের জন্য।