ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া প্রায় এক হাজার পর্যটক এখন সেখানে আটকা পড়েছেন।
আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোববারের মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দু-এক দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে এ নৌপথে পর্যটক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে ছয়টি জাহাজকে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। জাহাজগুলো হল, সুকান্ত বাবু, গ্রিন লাইন-১, এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান-১, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন। জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানি ফুলে কিছুটা উত্তাল থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তা উপেক্ষা করে সেন্টমার্টিন সমুদ্রে ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।