মাঘের শীতে বাঘে কাপে।কথাটি কিন্তু সত্য।মাঘ মাস শুরুর পর গত কয়েকদিন থেকেই শীতের প্রকোপ অনেকটা বেড়ে গেছে।উত্তরাঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগ অনেকটাই বেশি এই শীতকালে।তীব্র ঠাণ্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো উত্তরাঞ্চল।
তীব্র ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ।শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ এই জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে । বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। তবে ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ।বৃদ্ধ ও শিশুদের ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এদিকে, শীতকালীন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ ও বোরো ধানের বীজতলা শীত বা কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।শীতের এই তীব্রতার কারনে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলায় তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশু ও বয়স্কদের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাট ঢেকে যাওয়ার কারনে হাট-বাজারে লোকের সমাগম কমেছে।নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগও অনেকটা বেড়েছে। দেখা গেছে, গত কয়েক দিনে সকাল প্রায় ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে রাস্তাঘাট,ফলে সে সময় দোকানপাট খুলতে পারছেনা তারা। দুপরের পর সূর্য দেখা গেলেও বিকেল থেকে হিমেল হাওয়া এবং সন্ধ্যায় শুরু হয় কনকনে শীতের প্রকোপ।এসময় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।বয়স্ক ব্যক্তিরা ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহী জেলায় ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।