ভারতের হুমকি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই পাকিস্তানের!

নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার যে হুমকি দিয়েছে ভারত তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পানিসম্পদ মন্ত্রালয়ের সচিব খাওয়াজা শুমাইল।

ভারতীয় পানিসম্পদ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি চিরশত্রু পাকিস্তানের নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকির পরেই দেশটির পক্ষ থেকে এমন বার্তা এলো।

এনডিটিভি ও ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, নদীর পানি প্রবাহ বন্ধের ভারতের এই শেষ অস্ত্রেও একচুলও কাবু হয়নি পাকিস্তান। এত বড় হুমকিতেও কার্যত নিরুত্তাপ।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন জানিয়েছে, এ নিয়ে বিরোধিতা করবে না ইসলামাবাদ। পাক পানিসম্পদ মন্ত্রালয়ের সচিব খাওয়াজা শুমাইলকে বরাত দিয়ে ডন জানায় , ‘এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই পাক সরকারের । আন্তর্জাতিক পানিচুক্তি যদি তিন নদীর জল পাকিস্তানের দিকে আসা বন্ধ করে ভারতে ঘুরিয়ে দেওয়া সমর্থন করে, তাহলে তাদের কোনো আপত্তি নেই।’

এর আগে টুইটবার্তায় ভারতীয় পানিসম্পদ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি জানান ‘কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পাকিস্তানে যে পানি সরবরাহ করা হতো এবার থেকে তা যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা পূর্ব পাড়ের নদীগুলির পানির দিক পরিবর্তন করে দিয়ে তা জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের সরবরাহ করবো।’

সিন্ধুর উপত্যকায় মোট ৬টি নদী রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তিনটিই ভারতের দিক থেকে পাকিস্তানে প্রবাহিত। এর মধ্যে পূর্ব দিকে রয়েছে ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা।

পশ্চিম দিকের তিনটি নদী হল সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা। এই ছ’টি নদীর জলবণ্টন নিয়েই ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে চুক্তি হয়। সেটাই সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি।

এই চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমের তিন নদী সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগার জল ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের। এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনো ভাবেই ওই তিন নদীর প্রবাহে অন্তরায় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না ভারত। অন্য দিকে পূর্ব দিকের ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা নদীর জল ব্যবহারের অধিকার ভারতের।

এর আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার পরদিনই পাকিস্তানি পণ্যের আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তুলে নিয়েছে মোস্ট ফেভার্ড নেশন (এমএফএন) মর্যাদাও।

পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রচার চালাচ্ছে সারাবিশ্বে। সেনাবাহিনীতেও শুরু হয়েছে যুদ্ধপ্রস্তুতি। ১৪০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে পরদিন রাতেই পাক-সীমান্তে মহড়া চালায় বিমানবাহিনী।

১৪ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানে পাল্টা হামলার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: