ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন,
ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে না এবং এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে।' আজ মঙ্গলবার সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসছে।
গতকাল 'এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ টুনাইট উইথ ডেভিড মুইর' অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাতকারে জেলেনস্কি পুনরায় ইউক্রেনের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যদিও এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে অনুরোধ করেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।'
তিনি বলেন, 'আমরা ইউক্রেনের আকাশসীমায় কেবল রাশিয়াকে সক্রিয় থাকতে দিতে পারি না, কারণ তারা আমাদের ওপর বোমাবর্ষণ করছে, শেল নিক্ষেপ করছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও ফাইটার জেটসহ আরও অনেক কিছু পাঠাচ্ছে। আমরা আমাদের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।'
এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই যুদ্ধ থামাতে আরও অনেক কিছু করতে পারেন বলে বিশ্বাসের কথা জানান জেলেনস্কি। বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে তিনি পারবেন এবং আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই যে, তিনি এটা করতে সক্ষম।'
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের আকাশসীমাকে 'নো-ফ্লাই জোন' ঘোষণা করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো। তারা সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে গোটা ইউরোপেই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। একই বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শনিবার বলেছেন যে, ইউক্রেনের আকাশসীমাকে 'নো-ফ্লাই জোন' ঘোষণার মানে হলো সরাসরি যুদ্ধে যোগদানের সামিল।
গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, 'মার্কিন সেনাদের এই সংঘাত থেকে দূরে রাখার প্রতিশ্রুতিতে অটল আছেন বাইডেন।'
এর প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি বলেন, 'রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেডিয়াট্রিক ক্লিনিকসহ বেসামরিক কাঠামোতে আঘাত হানছে। যদি একটি ক্ষেপণাস্ত্র মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়, আমি মনে করি সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।'
'সবাই মনে করছেন যে, আমরা যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা থেকে অনেক দূরে আছি। না, আমরা স্বাধীনতার একই অঞ্চলে আছি। যখন আমাদের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে, তখন আপনার দায়িত্ব আমাদের রক্ষা করা। কারণ আজ আমরা আক্রান্ত হয়েছি, কাল আপনারাও আক্রান্ত হবেন।
কারণ হিসেবে জেলেনস্ক বলেন, এই জানোয়ারেরা যত বেশি খেতে পাবে, তারা আরও বেশি বেশি খেতে চাইবে'।