সাংবাদিকতার সুরক্ষায় দরকার শিক্ষায়তন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতা

নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার জন্য একই সঙ্গে অমিত সম্ভাবনা ও নানাবিধ ঝুঁকি হাজির করেছে। তবে এই
সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো ও চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করার জন্য দরকার গণমাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ ও সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নিবিড় সহযোগিতা প্রয়োজন।
 
এছাড়াও নতুন প্রজন্মের মাঝে গণমাধ্যম ও তথ্য সাক্ষরতার প্রসারের ঘটাতে হবে যাতে তারা গণমাধ্যম আধেয়ের সচেতন ভোক্তা হতে পারে, এবং ভার্চুয়াল ও বাস্তব উভয় জগতে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে পারে।
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোশিয়েশন ফর মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিসার্চ (আইএএমসিআর) বাংলাদেশ-এর যৌথ আয়োজন “ঢাকা মিডিয়া সামিট ২০২২”–এর সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন অধিবেশনে গবেষক ও বিষেশজ্ঞগণ আজ শুক্রবার এসব কথা বলেন।  
 
“নেটওয়ার্কড এনভায়রনমেন্টে কমিউনিকেশন মোডালিটিস অ্যান্ড অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় ভারতের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী ল্যাংগুয়েজ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রুচিতা সুজয় চৌধুরী বলেন, তরুণ সাংবাদিকরা আজ নানাবিধ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। সুতরাং, নতুন বৈশ্বিক এই পরিবেশে ডিজিটাল দর্শক-শ্রোতা-পাঠককে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই মানসম্পন্ন আধেয় তৈরি করতে হবে।
 
অন্যদিকে “আজ এবং আগামীকালের নাগরিক: মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের ডিজিটাল লিটারেসি ও ডিজিটাল শিষ্টাচার” শীর্ষক অপর গোলটেবিল আলোচনায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ (এনসিটিবি)-র সদস্য অধ্যাপক মো: মশিউজ্জামান বলেন, সরকার জাতীয় পাঠ্যক্রমে গণমাধ্যম ও তথ্য সাক্ষরতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে যাতে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।
 
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর পার্টনারশিপ অন মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি (জিএপিএমআইএল)-এর এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলের প্রতিনিধি ড. জোয়ি অ্যালাগারান বলেন, ডিজিটাল সাক্ষরতা মানে শুধুমাত্র ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা নয় বরং এটি দ্বায়িত্বশীলভাবে ডিজিটাল আধেয় তৈরি ও ব্যবহার করা।
 
টেকসই গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা শীর্ষক আরেকটি গোলটেবিল আলোচনায় নেপাল মিডিয়া অ্যাকশন, নেপাল-এর সহ-সভাপতি লক্ষ্মণ দত্ত পান্ত বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
 
আজকের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অন্য দুটি গবেষণা প্যানেলে, ইন্দোনেশিয়ার গবেষকরা আটটি নিবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।
 
উল্লেখ, চারদিনব্যাপী এই অনলাইন সম্মেলনে ১০ টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এবং ১৭টি দেশের গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের ৫৮ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করা হবে। এছাড়াও পাঁচটি গোলটেবিল বৈঠক, তিনটি মাস্টার ক্লাস এবং একটি গ্রন্থ-আলোচনা হবে।

Share this news on: