নিউমার্কেট সংঘর্ষ: গ্রেফতার বিএনপি নেতাকে তোলা হবে আদালতে

রাজধানীর নিউমার্কেটে দুই দোকানের কর্মচারীর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর জেরে সংঘর্ষে জড়ান ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। ১৮ ঘণ্টার সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন দুজন।

সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মোহামম্মদপুর থেকে গ্রেফতারের পর হস্তান্তর করা হয় নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে। আজ শনিবার তোলা হবে আদালতে।

যে দুই দোকানের কর্মচারীদের বিরোধ থেকে নিউমার্কেটে দুদিন ধরে চলা সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দোকান দুটি নিউমার্কেট থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনের নামে বরাদ্দ।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। যাদের সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনা নয়, জড়িত যেই হোক নেওয়া হবে আইনের আওতায়।

তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে সহিংসতার ঘটনার চারটির মধ্যে দুই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবিকে। যদিও এসব মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ আরও বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করার কথাও জানিয়েছেন আইজিপি।

নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া চার মামলার মধ্যে দুটি করেছেন নিহত নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবার। বাকি দুই মামলার বাদী পুলিশ। আর দুই হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে।

গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মকবুল হোসেন। তবে তিনি দোকান দুটি নিজে চালান না, ভাড়া দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সে সময় মকবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নব্বইয়ের দশকে আমি দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছি। তারপর থেকেই দোকান দুটি ভাড়া দেওয়া।
তিনি আরও বলেছিলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় সম্পৃক্ততা তো দূরে থাক, গত চার মাস আমি নিউমার্কেট এলাকায় যাইনি।

তবে, মকবুল হোসেনের আসামি হওয়ার বিষয়টি জেনে তখন বিস্ময় প্রকাশ করেন ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, মকবুল হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে সেটা ঠিক। কিন্তু তিনি তো দোকান চালান না। তিনি বরাদ্দ নেওয়া দোকান ভাড়া দিয়েছেন। ভাড়া দোকানের কর্মচারীদের বিরোধে তাকে যদি আসামি করা হয়, সেটি তো সমস্যা।

Share this news on: