ফেরি বন্ধ, বিরূপ আবহাওয়া ঈদ পর্যন্ত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘোষণা দেয়।

এই সময়টাতে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


এদিকে শুক্রবার রাতে রাজধানীতে আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুরু হয় প্রবল বাতাস। তবে এর সঙ্গে প্রত্যাশার বৃষ্টির দেখা মেলেনি। পুরো রাজধানী আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ধূলি ঝড়ে।

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ওই ঝড় শুরু হতে পারে। এ সময় দেশের নয়টি জেলার নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ওই জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। আর সাতটি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগামী চারদিন কালবৈশাখীর ঘনঘটা বাড়বে। অর্থাৎ সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি থাকবে।’


ঈদের দিনও তাপদাহ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলে যেহেতু আর্দ্রতার আধিক্য রয়েছে সেহেতু গরমের অনুভূতি থাকবে। তবে সার্বিকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসবে।’


Share this news on: