জিএস প্রার্থী পরিবর্তন করবে প্রগতিশীল ছাত্রজোট

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে উম্মে হাবিবা বেনজিরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু ভোটার তালিকাতে বেনজিরের নাম না আসায় তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডাকসু নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত প্রধান রিটার্নিং অফিসার মাহফুজুর রহমান।

তবে জোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী দাস বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, বর্তমান জিএস পদে যে প্রার্থী আছেন, তাকে যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে জোটের পক্ষ থেকে ওই পদে আমাদের প্রার্থীতার পরিবর্তন হতে পারে।

লিটন আরো বলেন, আমাদের ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদকে বিকল্প হিসাবে প্রার্থী করা হতে পারে।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় জিএস পদ ও অন্যান্য পদের প্রার্থীদের কেন বাতিল করা হয়েছে তার কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করা হবে বলেও জানান লিটন।

এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে লিটন নন্দীকে ভিপি এবং বেনজিরকে জিএস করে প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, বেনজির ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে তিনি স্নাতক পাস করেন। ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগে স্পেশাল মাস্টার্সে ভর্তি হন। রোববার তিনি ভর্তির কাজ শেষ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে তার নাম আসেনি। প্রকাশিত ভোটার তালিকাতে যাদের নাম রয়েছে শুধু তারাই প্রার্থী হতে পারবেন বলে প্রধান রিটার্নিং অফিসার নিশ্চিত করেছেন। বেনজির প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। আর তা মঙ্গলবার জমাও দিয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘সঠিক সময়ে গিয়ে আমি ভিসি স্যারকে ভর্তির বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কিছুদিন আগে আমাকে ভর্তির অনুমতি দিয়েছেন। তবে তিনি আমাকে বলেছিলেন, প্রার্থীতা খুব কম। তাই এটা সম্ভব। কিন্তু এখন এসে তিনি তার কথাকে অস্বীকার করছেন।’

তিনি আরো বলেন, আমরা এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করবো। তাতে আমি আশাবাদী যে আমি প্রার্থীতা বহাল করতে পারবো। তবে আমি নিশ্চিত যে আমি যদি প্রার্থী হই তবে জিতবো। আর প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার প্রার্থীতা বাতিল করেছে। আর তারা হলেগুলোতে নির্বাচন করবে বলেও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম, এই নির্বাচন হবে অনুষদে। কিন্তু প্রশাসন তা হতে দিচ্ছে না।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি যে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সে তালিকাতে যাদের নাম রয়েছে শুধুই তারাই প্রার্থী হতে পারবেন।’ প্রগতিশীল ছাত্রজোটের জিএস প্রার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানান।

তবে এ ব্যাপারে লিটন নন্দী দাস বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, এফ আর রহমান হলের জিএস ও এজিএস, একই সঙ্গে সুফিয়া কামাল হলের এজিএস এর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। কেন করা হয়েছে তা সম্পর্কে আমরা এখনও জানি না। তবে আমরা উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করবো। আশা করি তাদের প্রার্থীতা বহাল হবে।

টাইমস/টিআর/কেআরএস

Share this news on: