নজরুলের সৃজনশীল কর্ম বিশ্ব সাহিত্যেও বিরল

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নজরুলের সৃজনশীল কর্ম বাংলা সাহিত্যেতো বটেই, বিশ্ব সাহিত্যেও বিরল। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কবির গান ও কবিতা মুক্তিকামী মানুষকে অনিঃশেষ প্রেরণা জুগিয়েছে। তার লেখনি থেকেই জাতি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা-আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিয্দ্ধুসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা পেয়েছে।তিনি বাঙালির জাতীয় জাগরণের তূর্যবাদক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রের রূপকার।

বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী এবং ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ক্ষণজন্মা এ কবিকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। বরেণ্য কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম ও প্রকৃতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অন্যতম পুরোধা। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও সৃজনশীল কর্ম জাতির অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস। কবির ক্ষুরধার অগ্নিঝরা লেখনি শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করে, শিক্ষাদেয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী কবি। তিনি শুধু নিজের ধর্ম, সমাজ-সম্প্রদায়, দেশ ও কালের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকেননি, ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত। তার সৃষ্টি সর্বজনের, সর্বকালের।

Share this news on: