স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পরিচালিত হয়। প্রত্যেক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালনার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যথিক প্রাকটিশনার অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ দ্বারা হোমিওপ্যাথ, বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদীক প্রাকটিশনার অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ দ্বারা ইউনানী ও আযুর্বেদ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী এলোপ্যাথি চিকিৎসা পরিচালিত হয়।
নামের আগে ডা. পদবী এবং নিজেকে “মেডিকেল ডাক্তার” হিসাবে কে কে পরিচয় দিতে পারবে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট আইন দ্বারা তা উল্লেখিত রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ আইন অনুসারে কেবলমাত্র MBBS এবং BDS পাশকৃত চিকিৎসকগণ নামের আগে ডা. পদবী এবং পরে ডিগ্রি লেখার অনুমতি প্রাপ্ত।
হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকগণ “হোমিওপ্যাথ” পদবী ব্যবহার করবেন, ইউনানী চিকিৎসকগণ “তাবিব” বা “হাকিম” পদবী ব্যবহার করবেন এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসকগণ “বৈদ্য” বা “কবিরাজ” পদবী ব্যবহার করবেন। [সূত্র: হোমিও অর্ডিন্যান্স, ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদ অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩]।