এমবাপ্পের জোড়া গোলে ষোলোতে ফ্রান্স

ফিনিশিংয়ে নিজের সামর্থ্য দেখালেন কিলিয়ান এমবাপে। জোড়া গোলে বিশ্ব মঞ্চে স্পর্শ করলেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলের কীর্তি। ২৭১ মিনিটের খরা কাটিয়ে একবার সমতা ফেরাল ডেনমার্ক। কিন্তু শেষ সময়ের গোলে সবার আগে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেল ফ্রান্স।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শনিবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে দিদিয়ে দেশমের দল। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।

নেশন্স লিগের দুই হারের কথা মনে রেখেই হয়তো তেতে ছিল ফ্রান্স। শুরু থেকেই খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল। ডেনমার্ক বল পায়ে রাখে বেশি, কিন্তু আক্রমণ বেশি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এমবাপের গতি, উসমান দেম্বেলের কারিকুরি আর ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের বিপজ্জনক উপস্থিতি কাঁপন ধরায় ডেনমার্কের রক্ষণে।

বল পেলেই সোজা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে প্রথম ভালো সুযোগটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২১তম মিনিট পর্যন্ত। অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি কিকে আদ্রিওঁ রাবিওর হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান কাসপের স্মাইকেল।

৬১তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। থিও এরনঁদেজের সঙ্গে এমবাপের দারুণ বোঝা পড়ার ফসল এই গোল। ওয়ান-টু খেলে ডি-বক্সে ঢুকে যান এমবাপে। বাইলাইন থেকে এসি মিলানের কাটব্যাকে বল ফিরে পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে সারেন বাকিটা।

জুস্ত ফঁতেনের পর ফ্রান্সের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন এমবাপে।

সাত মিনিট পর সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। কর্নার থেকে ইওয়াখিম আনাসনের হেডে বল পান আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেন। বার্সেলোনা ডিফেন্ডার দারুণ এক হেডে খুঁজে নেন জাল। লক্ষ্যে এটাই ছিল ডেনিসদের প্রথম চেষ্টা।

৮৬তম মিনিটে ফের ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন এমবাপে। গ্রিজমানের চমৎকার ক্রসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। খুব বেশি কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের।

দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ফ্রান্স। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের দুটি জায়গায় আছে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া।

Share this news on: