অবশেষে ব্রাজিল ডিঙাল সুইস বাধা। বিশ্বকাপে এবারের আগে আরও দুবার মুখোমুখি হলেও একবারও সুইজারল্যান্ডকে হারাতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কিন্তু দানে দানে তৃতীয়বারে এসে সুইসদের হারাল সাম্বার দেশ। ক্যাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইস বাধা ডিঙিয়ে
ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করল ব্রাজিল।স্টেডিয়াম -৯৭৪ এ সোমবার (২৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৩ মিনিটে গোলটি করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
সুইসদের বিপক্ষে এ ম্যাচে নেইমারের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ব্রাজিল। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা সুইসদের বিপক্ষে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও ৮৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে গোলের জন্য।
এদিন ব্রাজিল খেলতে নামে দুটি পরিবর্তন নিয়ে। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া নেইমার ও দানিলোর জায়গায় ফ্রেড ও এডার মিলিতাকে নিয়ে নামে ব্রাজিল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ভরা প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনো পক্ষই।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে রাফিনিয়া-ভিনিসিউসরা। কিন্তু সুইস গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হয় সুইজারল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে ডিবক্সে বিপজ্জনক বল ফেলেন সুইজারল্যান্ডের এক খেলোয়াড়। গোললাইনের ঠিক সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করেন থিয়াগো সিলভা।
৫৬ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিউসের দুর্দান্ত ক্রসে পা লাগালেই আসরে তৃতীয় গোল পেতে পারতেন তিনি। পা লাগাতেই পারেননি এই স্ট্রাইকার। ৫৮ মিনিটে ফ্রেডকে তুলে ব্রুনো গুইমিরেসকে নামান তিতে। দুটো পরিবর্তন করেন সুইজারল্যান্ডের কোচও।
৬৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে কাউন্টার অ্যাটাক ওঠে ব্রাজিল। দারুণ এক গোল করে উল্লাসে মাতেন ভিনিসিউস জুনিয়র। কিন্তু ভিএআর চেক করে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন রেফারি।
একের পর এক আক্রমণ করেও ব্যর্থ ব্রাজিল যখন সুইসদের বিপক্ষে আরেকবার ড্রয়ের শঙ্কায় তখনই নায়ক হতে দৃশ্যপটে ক্যাসেমিরো। ৮৩ মিনিটে ভিনিসিউসের ইনসাইড পাসে ফ্লিক করেন রদ্রিগো। বল একবার ড্রপ খেয়ে চলে আসে ক্যাসেমিরোর সামনে। হাফ ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিলকে উল্লাসে মাতান তিনি। তার এই গোলেই সুইসদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলখরা কাটল।
এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে তাদের নকআউট পর্বও। ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিতের দল।