আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমলেও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, কম লাভে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাতারাতি সব কিছু বদলে দেওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি। লোকসান দিয়ে কেউ পণ্য বিক্রি করবে না। তবে পণ্য সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। রমজান মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ২-৩ দিনের মধ্যে এলসির (আমদানি ঋণপত্র) বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেবে। রমজান মাসে দাম কমে যাবে তা বলছি না, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যৌক্তিক মূল্য যেটা হওয়া উচিত সেই হিসাবটা মাথায় রেখে যেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায় সেটা করা হবে।
মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেটা দেখছে। আমরাও আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি।
চিনির দাম এখনো কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনি নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। আমাদের কাগজপত্র বলে প্রচুর পরিমাণে চিনি পাইপলাইনে অথবা দেশে আছে। আমরা চেষ্টা করছি, ভোক্তা অধিকার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে, জরিমানা করছে। আমরা চিন্তা করছি, দরকার পড়লে যদি জেলে পাঠানো ব্যবস্থা করা যায়, কারাগারে পাঠানোর স্কোপ থাকে, আমরা করবো। আমার ধারণা, দাম যেটা বেশি আছে সেটা কমে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনি অন্য বছরের তুলনায় কম নেই, যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে। আমদানি তো চালু আছেই, বাজারে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বিপজ্জনক অবস্থায় নেই। সাধারণ মানুষের জন্য দাম যাতে কমানো হয়, সে জন্য ডিউটি কমাতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু সমস্যা আছে সেটা অস্বীকার করতে পারি না। যারা চিনি উৎপাদন করে তাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দরকার। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তারা উৎপাদন করতে পারবে না, সেখানে সমস্যা রয়েছে। আমরা সবাই জানি, কোথাও না কোথাও, কিছু না কিছু সমস্যা আমাদের রয়েছে। এ সব কিছুকে আরও ভালো করে দেখার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি আমরা শিগগির করবো।
