মিরপুরে বড় প্রাপ্তি ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ। বল হাতে এবাদত-মুস্তাফিজও দৃঢ়তা দেখেয়েছিলেন। ধীর উইকেটে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা।
চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট পেয়ে মরণ কামড় দিয়েছে মেন ইন ব্লুজরা। ইশান কিষাণের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারত ৪০৯ রান তোলে। এরপর লিটনের দলকে ১৮২ রানে আলআউট করে ২২৭ রানের রেকর্ড জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে ভারত।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস। এদিন রোহিত শর্মার বদলে সুযোগ পাওয়া তরুণ ওপেনার ইশান কিষাণ বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে ঝড় তোলেন। এই বাঁহাতি ব্যাটার ১২৬ বলে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড করে ১৩১ বলে ১০ ছক্কা ও ২৪ চারে ২১০ রান করেন।
তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে এদিন বিরাট কোহলিও সেঞ্চুরি হাঁকান। সাকিব আল হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে দুই ছক্কা ও ১১ চারে ৯১ বলে ১১১ রান করেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। শেষ দিকে আক্সার প্যাটেলের ২০ ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে বিশাল রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরিতিতে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যার ফলে ৩৪ ওভারেই মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। যার ফলে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ে সফরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ভারতীয় দল।
এদিন সাকিব বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক লিটন দাস ২৯, ইয়াসির আলী রাব্বি ২৫ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন ২০ রান করে। শেষ দিকে তাসকিনের ১৭ আর মোস্তাফিজের ১৩ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছিলো শুধু।