যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সরকার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা করছে না বলে মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা চলছে, সেটা অব্যাহত থাকবে। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা ছিল, র্যাবের গুলিতে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে, আমরা যেন তা তদন্ত করি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে শাহীন নামে যে ব্যক্তি মারা গেছেন, সেটির বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তাদের তত্ত্বাবধানে যেন একটি তদন্ত হয়। যারা অপারেশনে বা যে ডিপার্টমেন্ট এতে জড়িত ছিল, তাদের বাইরে থেকে এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি যেন করা হয়। ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত হয়েছে। এটির রিপোর্ট আমরা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে সৈয়দ ফয়সাল আরিফ নামে এক বাংলাদেশীর নিহতের ঘটনায় বিচার দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমার মনে হয় না। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতাবাসে এখন যদি একটি পাতাও নড়ে, সেটি সবাই পর্যবেক্ষণ করবে। এতে এতো উৎসাহী হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা জানান।