বাজেটে তামাকের কর বৃদ্ধির দাবি

সিগারেট ও তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়লে একদিকে রাজস্ব বাড়বে অন্যদিকে কমবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমবে। তাই আসন্ন ২০১৯-২০ বাজেটে এ খাতের বিদ্যমান কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিশিষ্টজনরা।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সম্মেলনটির আয়োজন করে টোব্যাকো ফ্রি কিডস এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার কারীর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ। আবার পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া অনুপাত হারে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমলেও সংখ্যার ভিত্তিতে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা।

বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা, মৃত্যু এবং সার্বিক আর্থ-সামাজিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভয়াবহ। বর্তমানে সস্তা তামাকপণ্য তরুণ ও স্বল্প আয়ের মানুষকে তামাক ব্যবহারে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করছে। কার্যকরভাবে কর বাড়িয়ে সকল তামাকপণ্যের দাম জনগণের নাগালের বাইরে নিতে না পারলে তামাকের ছোবল থেকে জাতিকে রক্ষা করা যাবে না।

এ অবস্থার উত্তরণে সব ধরনের তামাক পণ্যে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করহার বাড়ানো গেলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমানো সম্ভব। এছাড়া সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে ধূপপান বিরোধী অধ্যায় রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

 

টাইমস/এএস/এসআই

Share this news on: