সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ আর নেই

প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না......)। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বারিধারায় নিজের বাসায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী ডলি ইকবাল। তিনি জানিয়েছেন, ৬৭ বছর বয়সী শাহনাজ রহমতউল্লাহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ জানিয়েছেন, রোববার বাদ জোহর বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে শাহনাজ রহমতউল্লাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানীতে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে, এবার বল’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

শাহনাজ রহমত উল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি, ঢাকায়। তার বাবা এম ফজলুল হক, মা আসিয়া হক। মায়ের কাছেই শাহনাজের গানের হাতেখড়ি। পরিবারের সবার কাছে তিনি ছিলেন আদরের শাহীন। ছোটবেলা থেকেই শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী শাহনাজ রহমত উল্লাহর গানের শুরু স্কুল জীবন থেকেই। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। টেলিভিশনে গাইতে শুরু করেন ১৯৬৪ সাল থেকে। সত্তরের দশকে অনেক উর্দু গীত ও গজল গেয়েছেন শাহনাজ।

২০০৫ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান পায়। এর মধ্যে আনোয়ার পারভেজের সুর করা দুটি গান, খান আতাউর রহমান ও আবদুল লতিফের সুরে দুটি গান রয়েছে।

শাহনাজ রহমতউল্লাহকে ১৯৯২ সালে একুশে পদক দেয়া হয়। ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ আয়োজনে আজীবন সম্মাননা, ২০১৩ সালে সিটি ব্যাংক থেকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয় তাঁকে। এ ছাড়া গান গেয়ে আরও অসংখ্য পুরস্কার আর সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: