কটিয়াদীতে ভোটগ্রহণ স্থগিত, দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যাহার করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে।

কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে জেলার অন্য ১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।

দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের এসপি মো. মাশরুকুর রহমান বলেন, ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কটিয়াদী উপজেলায় রাতের বেলায় ব্যালট বাক্স ভরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য জন্য তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৮৯। সকালে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এসব কেন্দ্রে জোর করে রাতে ব্যালট বাক্স ভরানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে এ রকম খবর আরও আসতে থাকে। সাড়ে নয়টার সময় সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে জেলার ১৩টি উপজেলার ৮৩৮টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কটিয়াদী ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাছাড়া নিরাপত্তা রক্ষায় ৩৯ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ২৬টি টিম কাজ করছে। পুরো জেলায় ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: