যে সাত রোমান্টিক উপন্যাস সবার পড়া উচিত

রোমান্টিক বই পড়ার তাগিদ থাকলে কিছু উপন্যাস রয়েছে যা আপনার একবার পড়া উচিত। কারণ এ সব উপন্যাস আপনার নিজের জন্য আপনার হৃদয়ে জায়গা তৈরি করবে। প্রতিটি উপন্যাস আপনাকে দিবে ভিন্ন ভিন্ন যুগের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের একটি জানালা। উপন্যাসগুলোর রঙিন চরিত্র ও জটিল প্লট আপনাকে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দেবে।

জেন অস্টেনের ‘প্রাইড এন্ড প্রেজুডাইস’

জেন অস্টেনের এই উপন্যাসটির চরিত্রগুলোর মাঝে সামাজিক প্রত্যাশা দেখা যায়। তারা প্রেমের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে। এর পাশাপাশি, এটি একটি হাস্যরস প্রাণবন্ত উপন্যাসও। নানা রকম ব্যক্তিগত কুসংস্কারের বিকাশ এই উপন্যাসে দেখা যায়। সম্পর্কের মধ্যে আত্ম-সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

এমিলি ব্রোন্টের ‘ওদারিং হাইটস’

এই উপন্যাসে হিথক্লিফ এবং ক্যাথরিন আর্নশোর চরিত্র দুইটির ঝামেলাপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে আবেগ এবং প্রেমও দেখা দিয়েছে। এই গল্পটি আকাঙ্ক্ষা, প্রতিশোধ এবং প্রজন্মের মধ্যে অমীমাংসিত আবেগের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেয়।

জেন অস্টেনের ‘সেন্স এন্ড সেনসিবিলিটি’

এই বইটি মানব প্রকৃতির গভীর অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করে। বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব এবং জীবনযাত্রা এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পটি সামাজিক রীতিনীতি, ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার মাঝে উত্তেজনাকে প্রতিফলিত করেছে। প্রেমের সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলোর একটি দৃঢ় ধারণা দেওয়া হয়েছে।

মার্গারেট মিচেলের ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’

আমেরিকান গৃহযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম এই মহাকাব্যিক গল্পের পটভূমি। এখানে এক তরুনীর সংগ্রামের গল্প ফুটে ওঠেছে। দরিদ্র থেকে বের হয়ে আসার জন্য তার জীবনে প্রেম ও নানা উত্থান-পতন নিয়ে লেখা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটিতে একটি যুগান্তকারী গল্প রয়েছে।

চার্লস ডিকেন্সের ‘এ টেইল অব টু সিটিস’

ডিকেন্স এই উপন্যাসে সাবধানতার সাথে ফরাসি বিপ্লবের উত্তেজনাপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেছেন। জীবনের সমস্ত স্তরের ধাপগুলো এই গল্পে রয়েছে। যেখানে প্রেমও জায়গা পেয়েছে।

জেন অস্টেনের ‘এমা’

উপন্যাসটি সরাসরি রোমান্টিকতার সাহিত্যিক ধারার অন্তর্গত নয়। তবে এতে এমন উপাদান রয়েছে যা, রোমান্টিকতার বৈশিষ্ট্যগুলো প্রতিফলিত করে। উপন্যাসটির চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অনুভূতি নিয়ে লেখা হয়েছে। আবেগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রেম এবং বিবাহের মতো মজাদার দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

শার্লট ব্রোন্টের ‘জেন আইরে’

জেন আইরে নামক একজন এতিম মেয়ে জীবনে সবার দুর্ব্যবহারই পেয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে নিজেকে এবং ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার পথটি নাটকীয়ভাবে চিত্রিত হয়েছে। নৈতিকতা, আর্থ-সামাজিক শ্রেণি বৈষম্য এবং লিঙ্গ নিয়ে একটি আকর্ষণীয় প্রেমের উপন্যাস এটি।

Share this news on: